কুষ্টিয়া থেকে ওয়াহিদুজ্জামান অর্ক:
কুষ্টিয়া ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন 'নগদ' থেকে ৭ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার পলাতক আসামি নগদের এজেন্ট ফারুক হোসেন (২৯) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তার কাছে থেকে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে।
কুষ্টিযার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম এর নির্দেশনায় ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াছির আরাফাতের সার্বিক তত্ত্ববধায়নে ভেড়ামারা থানার ওসি মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এস আই প্রকাশ রয় সঙ্গীয় ফোর্স সহ উপজেলার ১২ মাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত বুধবার দুপুরে তাকে আটক করে।
আসামি ফারুক হোসেন উপজেলার পশ্চিম বাহিরচর ১২ মাইল টিকটিকি পাড়ার মোজাম্মেল হকের ছেলে এবং নগদ ও বিকাশের এজেন্ট।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার সুযোগ্য পুলিশ সুপার খাইরুল আলম ও পরবর্তীতে ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে বিষয়টি সাংবাদিকদের অবগত করেন।
এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মজিবুর রহমান জানান, উপজেলার ১২ মাইল বাসস্ট্যান্ডে ফারুক স্টোর নামে আসামি ফারুক হোসেনের দোকান রয়েছে। সে নগদ ও বিকাশের এজেন্ট। ৭ সেপ্টেম্বর সকালে নগদ'র ডিস্ট্রিবিউশন সেলস অফিসার রবিন হাসানকে ফোন দিয়ে ৭ লক্ষ টাকা ই-মানি লাগবে বলে জানায়। টাকা ই-মানি করে দেওয়ার পর দুপুরে রবিন টাকা নিতে আসলে দোকান বন্ধ পায়। এরপর থেকেই আসামি ফারুক পলাতক থাকে। পরে মেসার্স আনিশা এন্টারপ্রাইজের ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজার রাকিবুল ইসলাম বাদী হয়ে ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় মামলা করেন।
ওসি মজিবুর রহমান বলেন, এরমধ্যে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামি ফারুককে গ্রেফতার করতে একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। গত বুধবার দুপুরে ১২ মাইল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এসময় আত্মসাৎকৃত ৭ লক্ষ টাকার মধ্যে সাড়ে ৩ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। অবশিষ্ট টাকা উদ্ধারে তৎপরতা অব্যাহত আছে। আাসামি ফারুক জিজ্ঞাসাবাদে সত্যতা স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।